No Item in Cart
যাইতুন তেলের উপকারিতা
যাইতুন তেলের উপকারিতা
যায়তুন একটি বরকতময় ফল। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা সূরহ্ তীন-এ যায়তুনের কসম করেছেন।
এছাড়া রসূল (স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যাইতুন এর তেল খেতে ও মালিশ করতে বলেছেন।
প্রিয় নবীজী (স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
كلوا الزيتَ وادَّهِنوا به فإنه من شجرةٍ مباركةٍ
‘তোমরা যায়তুনের তেল খাও এবং এর দ্বারা মালিশ কর বা শরীরে মাখ। কেননা, তা বরকতময় গাছ থেকে আসে।’ (তিরমিযী, আহমাদ,)
যায়তুন হলো আরবি শব্দ বাংলাতে যাকে জলপাই, ইংরেজিতে অলিভ অয়েল বলা হয়ে থাকে ।
যায়তুন তেল এ রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেগুলো (আল্লাহর অনুগ্রহে) আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে।
আসুন এবার একটু জেনে নেওয়া যাক যায়তুন তেলের মধ্যে কি কি গুনাগুন ও উপকারিতা রয়েছে ।
১. যায়তুন তেল খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়।
২. যায়তুন তেল নিয়মিত চুলে ব্যাবহার করলে চুল পাকা ও চুল পড়া বন্ধ হয় ।
৩. যায়তুন তেল শরীরের এসিড ও পেটের গ্যাস কমায়।
৪. যাইতুন তেল লিভার পরিষ্কার রাখে ।
৫. যায়তুন তেল শরীরে বা চেহারায় ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি শরীরে ও চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া থেকে বাঁচা যায় ।
৬. সাধারণত সন্তান হওয়ার পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের স্থায়ী দাগ পড়ে যায় । গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে যায়তুন তেল মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না।
৭. গোসলের পানিতে ১/৪ চামচ মিক্স করে গোসল করলে শরীরে শিথিলতা/দুর্বলতা দূর হয়।
৮. যায়তুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি এক্সিডেন্ট।এটি শরীরের ত্বকের সুরক্ষায় খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৯.যায়তুন ক্যান্সার দমনে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে ।
১০. চুল ও দাড়িতে যায়তুনের তেল মাখলে চুল এবং দাড়ি পাকার প্রবণতা কমে যায়।
১১. যায়তুন তেল চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে ।
১২. যায়তুন তেল দীর্ঘদিন যৌবন ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ।
১৩. যায়তুন তেল সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে ।
১৪. যায়তুন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে খুব কার্যকরী ভুমিকা পালন করে।
১৫. যায়তুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আশ বা ফাইবার। যা বাতের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে ।
এ ছাড়াও অসংখ্য উপকার যায়তুন তেলের মধ্যে রয়েছে সব বর্ণনা করা সম্ভব নয় শুধুমাত্র কিছু উদাহরণ দিলাম আপনাদের বোঝার জন্য ।তাই আপনাকে বলব অবশ্যই যাইতুন তেল ব্যবহার করুন। যায়তুনের তেল দিনে ১-২ বার খাবেন এবং শরীরে মালিশ করবেন